এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউ এবং ডাউনলোড - Extraction Movie Download

এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউ - Extraction মুভি রিভিউ


এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউ - Extraction মুভি রিভিউ

কেমন ছিল ঢাকা নিয়ে নির্মিত হলিউড মুভি এক্সট্রাকশন? মুভিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশী দর্শকরা প্রচুর সমালোচনা করছে। আর সমালোচনা করবেই না কেন। এই ছবিতে ঢাকা শহরকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে যেটা দেখলে আপনারই খারাপ লাগবে। যদি বাংলাদেশ আর ঢাকা এই দুইটা জিনিস বাদ দেন তহলে এক্সট্রাকশন অসাধারন একটা মুভি। কি ছিল এক্সট্রাকশন মুভিতে এটা নিয়ে কথা বলব । আর এক্সট্রাকশন মুভির ডানউনলোড LINK নিচে দেওয়া আছে। 


এক্সট্রাকশন মুভির তথ্য:



মুভির নাম: এক্সট্রাকশন
পরিচালক: স্যাম হারগ্রাভান
প্রযোজক: জু রশো, এ্যান্থনো রশো, ক্রিশ হোমস্ওয়ার্থ, মাইক লারোক্কা, ইরিক গিটার, পিটার
স্টোরি: আন্দে পার্ক, জু রশো, এ্যান্থনোনি রশো
অভিনয়: ক্রিশ হোমস্ওয়ার্থ, গুলছিফিক ফারহানী, রনদিপ হোদা, পঙ্কাজ ট্রিপাটি, ডেভিট হারবার্ট
পরিবেশনায়: নেটফ্রিক্স


এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউ - Extraction মুভি রিভিউ
ফারহানী (এক্সট্রাক মুভির হিরোইন)


কেন এক্সট্রাকশন মুভি নিয়ে বাংলাদেশীরা সমালোচনা করছে?

এক্সট্রাকশন পাচশত কোটি টাকার একটা মুভি। মুভিটির বজেট শুনে নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন কি পরিমান টাকা খরচ করে এক্সট্রাকশন মুভিটি তৈরি করা হয়েছে। সাম হারগ্রাভান পরিচালিত এই মুভিতে ঢাকাকে দেখানো হয়েছে কংক্রিটের জঙ্গল হিসেবে। এই ঢাকা দেখলে মনে হবে ভিন গ্রহের কোন ঢাকা। আপনার প্রিয় শহরকে যদি এমন করে উপস্থাপন করা হয় তাহলে কি আপনি মেনে নিবেন। শুধু যে ঢাকাকে কংক্রিটের শহর হিসেবে দেখানো হয়েছে তা কিন্তু না। রিক্সার শহর ঢাকা হয়ে গেছে আটো রিকশার শহর। এই মুভিতে যে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করা হয়েছে তা গালিগালাজ ছাড়া আর কিছু না। না ঢাকাইয়া ভাষা না কলকাতার ভাষা। আমার কাছে মনে হল এক্সট্রাকশন মুভিতে যে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করা হয়েছে তা ময়মনসিংহ বিভাগের ভাষা। এক্সট্রাকশন মুভিতে দেখা যায় বাংলাদেশী ডন আমির আসিফকে পুলিশ আর্মি সহ র‌্যাবের মত এলিট ফোর্স সেল্টার দিচ্ছে। যা একজন বাংলাদেশী হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরি বাহীনির পোষাকেও রয়েছে অনেক ভুল। বাংলাদেশকে নিয়ে নির্মিত মুভিতে নেই কোন বাংলাদেশী অভিনেতা। ভারতের আহমেদাবাদকে ঢাকা বলে চালিয়ে দিয়েছে পরিচালক সাব হারগ্রাভান। অবশ্য তিনি কয়েক বার ঢাকা এসে ঘুরে গেছেন । হয়তো তিনি ভেবেছেন হলিউডের অভিনেতা এনে ঢাকা শহরে শুটিং করানো সম্ভব না। এক্সট্রাকশন মুভিতে দেখা যায় ঢাকার ছোট ছোট ছেলেদের হাতে গান। তারা এটা ভুলে গেছে এটা বংলাদেশ আফ্রিকা না।  যদি এসব কিছু বিবেচনা করে মুভি দেখতে বসেন তাহলে মুভিটি আপনার কাছে আবর্জনা ছাড়া কিছু মনে হবে না। একজন বাংলাদেশী হিসেব খারাপ রিভিউ আপনি দিতেই পারেন। 


এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউ - Extraction মুভি রিভিউ
ক্রিশ হোমস্ওয়ার্থ


আপনি যদি মনে করেন এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউর ভিডিও দেখবেন তাহলে আপনার জন্য নিচের ভিডিওটি দেওয়া আছে।( আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করে চলচিত্র জগতের সাথে থাকুন।)


এক্সট্রাকশন মুভি রিভিউ:

এক্সট্রাকশন অসাধারন এক এ্যাকশান থ্রিলার মুভি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার চোখ স্কিনে থাকতে বাধ্য। মুভির ফাইটগুলো টেনে টেনে দেখার মত। বলতে পারেন ক্রিশ হোমস্ওয়ার্থ এর ২য় এ্যাডভেঞ্জার মুভি। কি ছিলনা মুভিতে । হলিউড মুভিতে সাধারনত ইমোশন কম থাকে। এই মুভিতে এত পরিমান ইমোশন আছে যে আপনার চোখে পানি আসতে বাধ্য। মুভি কাহিনি শুরু হয় কিডন্যাপ নিয়ে। ইন্ডিয়ার এক ডনের ছেলেকে কিডন্যাপ করে বাংলাদেশী এক ডন। ছেলেকে উদ্ধারে জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ভাড়া করা হয় ক্রিশ হোমস্ওয়ার্থকে। যে কিনা টাকার বিনিময়ে কাজ করে। ঢাকা থেকে  কিডন্যাপ হওয়া ছেলেকে উদ্ধারে জন্য শুরু হয় লড়াই। ক্রিস হোমস্ওয়ার্থ কি পারবে ছেলেটিকে উদ্ধার করতে? তা দেখতে হলে দেখতে হবে আপনাকে এক্সট্রাকশন মুভিটি। আমি সব মিলিয়ে বলব অসাধারন এক মুভি। দেখতে বসলে আপনি নিরাশ হবেন না। সবাই যার যার স্থান থেকে অসাধরন অভিনয় করেছে। এই একটা ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য কি পরিমান জীবন দিতে হয়েছে এবং কি পরিমান জীবন নিতে হয়েছে তা মুভি দেখলেই বুজতে পারবেন। যেখানে টাকার জন্য উদ্ধার কাজে নামে সেখানে এক পর্যায়ে টাকার কোন দাম থাকে না। নতুন এক ভালবাসার জন্ম হয় অচেনা কারোর জন্য । 

এটা ছিল এক্সট্রাকশন মুভির রিভউ। আমি ভাল মুভি রিভিউ লেখতে পরিনা। তাও চেষ্টা করছি। কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আপনি যদি মুভিটি দেখে থাকেন তাহলেও জানাতে ভুলবেন না। 

মুভি ডাউনলোড লিংক: 


EXTRACTION MOVIE DOWNLOAD NOW

Post a Comment

Previous Post Next Post